Home | Menu | Poem | Jokes | Games | Science | Omss বাংলা | Celibrity Video | Dictionary

Poets Biography

Bangla Film Actress Bobita 1953

Bangla Version Babita (Farida Akhter, also known as Bobita, Born 30 July 1953) (Bangla: ববিতা) is a renowned Bangladeshi film actress. She has also participated in several NGOs focusing on the welfare of women and children and founded a community seed bank.

Her family full name is Farida Akhter. She was born to an educated family that had its origins in the west-Bangladeshi district of Jessore, Bangladesh. Her family nickname was Poppy, and like her mother, she had early ambitions of becoming a doctor. Instead, she was to become the most accomplished actress among three sisters, all of whom became movie stars. She also has three brothers whom are not in the movie business.

In the mid-1960s, her elder sister Kohinoor Akhter entered the movie industry in the capital Dhaka, and adopted the screen name Shuchonda. In 1968, Shuchonda married Zahir Raihan, a talented film director and martyred intellectual who was later to lose his life in an ambush by West Pakistan forces during the Bangladeshi war of independence. Raihan was casting around for a heroine for his movie Jaltey Suraj Ka Nichey, when his producer Afzal Chowdhury mentioned that his sister-in-law might fit the bill . Poppy was photogenic and had already acted in television. Zahir Raihan agreed to cast her, and although the film was not completed in the end, she found an entry into the Dhaka film industry. Her first released feature was Shesh Porjonto. To add, the recent famous Bangladeshi actor Riaz is her first cousin.

Babita was notable also for being an actress, and her performances in films such as Taka Anna Pai, Shorolipi, and Anarkoli. Her acting gained the attention of the Indian director Satyajit Ray. In 1973, Ray cast Babita in Ashani Sanket ("Distant Thunder"), his film about the Bengali famine of 1943. Babita appeared in the lead role of Ananga, the demure wife of the village doctor Gangacharan, who was played by long-time Ray favourite Soumitra Chatterjee.

Ashani Sanket won the Golden Bear prize at the 1973 Berlin Film Festival. Babita's performance was central to the film. Two decades later, Babita's younger sister Chompa also received recognition for her performances in arthouse films such as Padma Nadir Majhi.



In an interview with the Independent newspaper in 2004, Babita says that it was Afzal Chowdhury who suggested the screen name Bobita for her. In another interview with the Daily Star in 2005, she mentions that Zahir Raihan originally casts her for the movie Shongshaar [2]. A different version of the story is that she adopted the name after appearing in Ehtesham's movie Pitch Dhala Path.

She acted in number of joint venture movie projects in her career, namely: a Bollywood-Bangladesh joint production Movie Door Desh in 1983 (Gehri Chot in Hindi) and also Pakistan-Bangladesh joint venture film Miss Lanka (Nadaani in Urdu) in 1985.

Arthouse and commercial movies

  • Arunodoyer Agnishakkhi (1972) by Subhash Dutta
  • Dhirey Bohey Meghna (1973)—a war drama by Alamgir Kabir
  • Golapi Ekhon Trainey (1978) by Amjad Hossain; Babita's portrayal of the migrant girl Golapi is regarded as one of her finest performances.
  • Dahan (1986) by Sheikh Niamat Ali

In addition, Babita was also prolific in commercial cinema. The Bangladeshi film industry centres around the Film Development Corporation in Dhaka, popularly known by its acronym "FDC". The typical FDC feature is aimed at the poorly educated working classes, and it consists mostly of over-the-top melodrama and multiple song-and-dance numbers. Classic examples are her films of the early 1980s, Miss Lanka and Love in Singapore.

She formed screen partnerships with male stars Faruk, Zafar Iqbal, Bulbul Ahmed, and Sohel Rana. Babita won the Best Actress award at the National Film Awards for several of her movies, some of which are:

  • Bandee Thekey Begum (1975)
  • Noyon Moni (1976)
  • Boshundhora (1977)
  • Ramer Shumoti (1985)

As a producer

After the commercial success of Teen Kannya Bobita became interested to produce movies and hence launched a movie production house named "Bobita Movies." Some of Bobita's produced movies are:

  • Ful Shojja
  • Agomon
  • Lady Smuggler (A Bangladesh-Pakistan-Nepal joint venture movie)
  • Lottery
  • Poka Makorer Ghor Bosoti (A Bangladesh Govt. sponsored movie)

Recent career

Her acting career continues, though less vigorously than before. In 2002, Babita won a National Film Award for Best Supporting Actress for her role in Hason Raja, Chashi Nazrul Islam's biopic of the famed Bengali folk-poet. She has also formed her own film-production company and has expressed an interest in directing in the future.

Babita has campaigned actively on behalf of various social causes in Bangladesh. Notable among the causes she has supported are the campaign against throwing acid on women; the national immunization drive for children; and a support group for children who suffer from leukemia. Starting in 2011, Babita began working with Distressed Children & Infants International as a Goodwill Ambassador.

Bangladeshi Film Actress Bobita ববিতা 1953

English Version ববিতা (মূল নাম:ফরিদা আক্তার জন্ম ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে) বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ৭০ ও ৮০-র দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি সত্যজিৎ রায়ের অশনি সংকেত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রশংসিত হন।হন।ববিতা ২০০-এরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।ববিতা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুচন্দা এবং চম্পার বোন।

ববিতা
জন্ম ববিতা
১৯৫৬ সাল
জন্মস্থান বাগেরহাট জেলা
পেশা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
যে কারণে পরিচিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী


চলচ্চিত্রে আগমন

ববিতার পরিবার একসময় বাগেরহাট থেকে পুরো পরিবার চলে আসে ঢাকার গেন্ডারিয়াতে। তাঁর মা ডাক্তার হওয়ায় ববিতা চেয়েছিলেন ডাক্তার হতে।জহির রায়হান প্রযোজিত ‘সংসার’ নামক ছবির মাধ্যমে তাঁর চলচ্চিত্রে আগমন ১৯৬৮ সালে।এই ছবিতে তিনি রাজ্জাক ও সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন।তার প্রাথমিক নাম ছিল সিনেমার জন্য সুবর্ণা। তিনি ‘কলম’ নামের একটি টিভি নাটকেও অভিনয় করেছিলেন সে সময়।১৯৬৯ সালে ‘শেষ পর্যন্ত’ সিনেমাতে অভিনয় করেন তিনি প্রথম নায়িকা চরিত্রে এবং তখন তার নাম হয় ববিতা।১৯৬৯ সালের ১৪ই আগস্টে ঐ সিনেমা মুক্তি পায় এবং ঐ দিনই তার মা মারা যান।তার কর্মজীবনের শুরুতে ভগ্নিপতি জহির রায়হানের পথ প্রদর্শনে চললেও পরে তিনি একাই পথ চলেছেন।৭০-এর দশকে শুধুমাত্র অভিনয় দিয়ে তিনি ঐ দশকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রতিষ্ঠা

গ্রামীণ,শহুরে চরিত্র কিংবা সামাজিক অ্যাকশন অথবা পোশাকী সব ধরনের ছবিতেই তিনি সাবলীলভাবে অভিনয় করেন।স্বাধীনতার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন।তৎকালীন সময়ে তিনি ফ্যাশনের ক্ষেত্রে শহরের মেয়েদের ভীষণ প্রভাবিত করেন।নগরজীবনের আভিজাত্য তার অভিনয়ে ধরা পড়েছিল।সত্তর দশকের প্রথমার্ধে রুচিশীল, সামাজিক সিনেমা মানেই ছিল ববিতা। ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমাটা ছিল তাঁর জন্য টার্নিং পয়েন্ট যা পরিচালনা করেছিলেন জহির রায়হান।এরপর তিনি নজরুল ইসলামের ‘স্বরলিপি’ সিনেমাতে অভিনয় করেন যা ছিল সুপারহিট সিনেমা।

অভিনয় জীবন

ববিতা প্রায় তিন দশক ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন।তবে এক পর্যায়ে সিনেমার জগতে টিকে থাকার জন্য এবং বাণিজ্যিক ছবিতে নিজের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের জন্য তিনি পুরোপুরি বাণিজ্যিক ঘরানার ছবির দিকে ঝুঁকে পড়েন।বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তাই ববিতা তাই একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম।নায়িকা হিসেবে তাঁর স্বাতন্ত্র্যতা লক্ষণীয় ছিল।অভিনয় ,গ্ল্যামার,স্কিন পার্সোনালিটি, নৃত্য কুশলতা সবকিছুতেই তিনি পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন।আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে ববিতা মুটিয়ে যেতে থাকেন এবং গৎ বাঁধা চলচ্চিত্রে এমন ভাবে অভিনয় করেন যে তাকে আলাদাভাবে চেনা মুশকিল হয়ে পড়ে।বর্তমানে তিনি মা-ভাবির চরিত্রে অভিনয় করে আসছেন। ববিতার একমাত্র ছেলে অনীক কানাডায় পড়াশোনা করে, তাই তিনি ২০১০ সালের মাঝামাঝিতে প্রায় ছয় মাস কানাডায় অবস্থান করেন।

অশনী সংকেত

ববিতার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছবি অশনি সংকেত।ভারতীয় ক্যামেরাম্যান নিমাই ঘোষ স্বাধীনতার পর ঢাকাতে এফডিসিতে এসে তার প্রায় ১৫০ থেক ২০০ ছবি তুলে নিয়ে যান।ওনাকে সত্যজিত রায় ছবি তুলতে পাঠিয়েছিলেন। এর কিছুদিন পর তাদের বাসায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে চিঠি আসে প্রাথমিক মনোনয়ণের কথা জানিয়ে।সুচন্দা এবং ববিতা তখন ভারতে যান সত্যজিৎ রায়ের সাথে দেখা করতে।সত্যজিত রায় তাকে দেখে অনেক লাজুক ভেবেছিলেন।তাই ইন্দ্রপুরের স্টুডিওতে তিনি তাঁকে আবার তাকে পরীক্ষা করেন।পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সত্য সত্যজিত রায় বলেনঃ”আই অ্যাম সো হ্যাপি,আমি অনঙ্গ বউ আজকে পেয়ে গেছি।আমি ভাবতেও পারিনি এই মেয়েটি সেদিনের সেই মেয়েটি।আজকে এই মেয়ে সম্পূর্ন অন্য মেয়ে।এই আমার অনঙ্গ বউ।‘ববিতাও অনেক চাপের মুখে ছিলেন তাঁকে নেয়া হয় কিনা।ববিতা বলেনঃ “একজন অল্পবয়সী বাঙ্গালী যা করে-ভেতরে ভেতরে অনেক মানত-টানত করে শেষে জানলাম, আই ওয়াজ সিলেক্টেড ফর দেয়ার মুভি।”

সন্মাননা

ববিতা পরপর তিন বছর টানা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার জেতেন।সত্যজিৎ রায়ের অশনি সংকেত ছবিতে অনঙ্গ বউ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি বেঙ্গল ফ্লিম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় শ্রেষ্ঠ নায়িকার পুরষ্কার পান। এছাড়াও সরকারী ও বেসরকারী অসংখ্য পুরষ্কার তিনি লাভ করেছেন। এজন্য তাঁকে ‘পুরষ্কার কন্যা’ বলা হত। ববিতা।তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সবচেয়ে বেশিবার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।

From Amar Desh

ববিতা এক সময় ছিলেন নায়িকা। বিয়েও করেছিলেন, সুখী হতে পারেননি বলেই স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। তার সেই স্বামী ইফতেখার বহু বছর হয় মারা গেছেন। একমাত্র পুত্রসন্তানকে নিয়ে তার এখনকার জীবন কেটে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ছবিতে তিনি মায়ের ভূমিকায় এক সময় ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। সেই অবস্থাও এখন আর নেই। হাতে ছবির সংখ্যা খুবই কম। প্রযোজিকাও ছিলেন তিনি। ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ বানিয়ে তিনি এমন লোকসান দিলেন যে, যার জন্য পরবর্তী সময়ে ছবি নির্মাণে আর আগ্রহ দেখালেন না। তবে ববিতা নায়িকা হিসেবে সফল হয়েছিলেন। ১৯৬৮ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শীর্ষ নায়িকাদের একজন ছিলেন তিনি। সত্যজিত্ রায়ের ‘অশনি সঙ্কেত’ ছবিতে অভিনয় করে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হন। একাধিকবার তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন, যে জন্য এই ববিতাও কিন্তু জীবদ্দশায় কিংবদন্তি হয়ে থাকলেন।
ববিতার ফিল্মি জীবনের বয়স প্রায় ৪২ বছর পেরিয়ে গেছে। ১৯৬৮ সাল থেকে তার অভিনয় শুরু ‘সংসার’ ছবি থেকে। ‘সংসার’-এ যে মেয়েটি বুকভরা আশা নিয়ে ফিল্মে এসেছিলেন, সেই ববিতা প্রথমে কি আশা করেছিলেন ফিল্মে সফল হবেন? অক্লান্ত চেষ্টা আর প্রতিভাময়ী হওয়াতে ববিতা ফিল্মে একটা যুগ সৃষ্টি করে গেছেন। ববিতার আসল নাম ফরিদা আখতার। ডাকনাম ‘পপি’। জন্ম ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে।
পৈতৃক বাড়ি যশোরে। ১৯৬৮ সালে প্রথম চিত্র জগতে আসেন সিনে ওয়ার্কশপের ব্যানারে নির্মিত ‘সংসার’ ছবিতে। তখন ওর নাম ছিল ‘সুবর্ণা’। বড় বোন সুচন্দার স্বামী জহির রায়হানই তাকে চিত্র জগতে নিয়ে আসেন। জহির রায়হানের ‘জ্বলতে সুরুজ কি নিচে’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে সুবর্ণা হলেন ‘ববিতা’। নায়িকা হিসেবে ববিতার যথার্থ উত্থান ঘটে ১৯৬৯ সালে ‘শেষ পর্যন্ত’ ছবির মাধ্যমে।
১৯৭০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ববিতা শতাধিক ছবিতে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ছবি হলো—পিচঢালা পথ (১৯৭০), স্বরলিপি (১৯৭০), অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী (১৯৭২), ধীরে বহে মেঘনা (১৯৭৩), আবার তোরা মানুষ হ (১৯৭৩), অশনি সঙ্কেত (১৯৭৩), বাঁদী থেকে বেগম (১৯৭৫), লাঠিয়াল (১৯৭৫), নয়নমণি (১৯৭৬), অনন্ত প্রেম (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), সুন্দরী (১৯৭৯), এতিম (১৯৮০), দূর দেশ (১৯৮১), লাইলী মজনু (১৯৮৩), তিনকন্যা (১৯৮৫), রামের সুমতি (১৯৮৫), চণ্ডিদাস ও রজকিনী (১৯৮৭), বিরহব্যথা (১৯৮৯), বিরাজ বৌ (১৯৮৯) প্রভৃতি।
জাফর ইকবাল, ফারুক, উজ্জ্বল, রাজ্জাক, সোহেল রানা, বুলবুল আহমেদ, ওয়াসিম, জাভেদ প্রমুখ ছিলেন তার রোমান্টিক নায়ক। তবে জাফর ইকবালের সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে ওদের মধ্যে বেশ সুসম্পর্ক গড়ায়। শোনা যায়, এরা একে অপরের প্রেমেও নাকি পড়েছিলেন। পর্দায় প্রেমের দৃশ্যে অভিনয় করতে করতে যদিও তারা সফল হন, কিন্তু বাস্তবে তা হতে পারেননি। জাফর-ববিতা জুটির উল্লেখযোগ্য ছবি হলো— ‘এক মুঠো ভাত’। এই ছবিটি অসম্ভব ব্যবসাসফল হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল ভারতীয় হিন্দি ছবি ‘রুটি’র কাহিনী নিয়ে নির্মাণের জন্যই। ছবিতে ববিতা ও জাফর ইকবাল বিভিন্ন রোমান্টিক দৃশ্যে অংশ নেন। ‘অতো রূপের গরব করিস না, রূপ চিরদিন থাকবে না ... আমি অগ্নিশিখা তুই পতঙ্গ...’ গানের দৃশ্যে ওদের উপস্থিতি সেদিন (১৯৭৬ সালে) সর্বশ্রেণীর দর্শককে মুগ্ধ করেছিল।
‘শনিবারের চিঠি’ ছবিতে উজ্জ্বল-ববিতা জুটি সফল হয়েছিল। ফারুকের সঙ্গে ববিতার জুটি বাঁধার কাহিনীও মনে রাখার মতো। এই জুটির ‘নয়নমণি’ (১৯৭৬) ছবিটি ব্যবসাসফল হয়েছিল। পোশাকি ছবিতেও ববিতার উপস্থিতি ছিল। তার অভিনীত পোশাকি ছবির মধ্যে কয়েকটি হলো— নওজোয়ান, রাজবন্দি, চম্পা চামেলী, জংলী রানী, বাগদাদের চোর, শরীফ বদমাস, নিশান, তাজ ও তলোয়ার প্রভৃতি। ‘নিশান’-এ তার নায়ক ছিলেন জাভেদ।
ববিতার সঙ্গে কয়েকবারই দেখা হয়েছে। কয়েক বছর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, বরাবর আমি সুস্থ সুন্দর জীবন চেয়েছি। আল্লাহ তায়ালা আমাকে যথেষ্ট দিয়েছেন। অন্যান্য অভিনেত্রীর থেকে আমার জীবনটা একটু ভিন্ন, একটু আলাদা। সমাজের রুচিশীল মানুষের মতোই আমার জীবন। ভবিষ্যতে একাকীই থাকব—এটাই আমার চিরদিনের ইচ্ছে।
ববিতা আরও জানিয়েছিলেন, ১৯৭০ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত গল্পের জন্য ছবিঘরে দর্শকের ভিড় হতো। আমি ভাগ্যবতী, কেননা যখন ফিল্মে নায়িকা ছিলাম তখন সর্বশ্রেণীর দর্শক ছবিঘরে আসত। আমার যুগে অভিনয় দেখানোর যথেষ্ট স্কোপ ছিল। সে জন্য আমার অভিনীত ছবির প্রশংসা এখনও শুনতে পাই। তখন গর্বে আনন্দে বুকটা যে ভরে যায়।

চলচ্চিত্রসমূহ

* সংসার (১৯৬৮)
* শেষ পর্যন্ত (১৯৬৯)
* অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী
* আলোর মিছিল
* বাঁদী থেকে বেগম
* ডুমুরের ফুল
* বসুন্ধরা
* গোলাপী এখন ট্রেনে
* নয়ন মণি
* সুন্দরী
* অনন্ত প্রেম
* লাঠিয়াল
* এক মুঠো ভাত



* আকাঙ্খা
* মা
* ফকির মজনু শাহ
* সূর্য গ্রহণ
* এখনই সময়
* কসাই
* জন্ম থেকে জলছি
* বড় বাড়ির মেয়ে
* পেনশন
* দহন
* চন্ডীদাস ও রজকিনী
* দিপু নাম্বার টু



* অশনি সংকেত (১৯৭৩)
* রামের সুমতি (১৯৮৫)
* নিশান
* মন্টু আমার নাম
* নাগ-নাগিনী
* দোস্তী
* প্রতিজ্ঞা
* বাগদাদের চোর
* লাভ ইন সিঙ্গাপুর
* প্রতিহিংসা
* নাগ পূর্ণিমা
* চ্যালেঞ্জ
* হাইজ্যাক
* মায়ের জন্য পাগল
* টাকা আনা পাই
* স্বরলিপি