Home | Menu | Poem | Jokes | Games | Science | Omss বাংলা | Celibrity Video | Dictionary

Poets Biography

বাংলাদেশের কোকিল সাবিনা ইয়াসমিন ১৯৫৩

সাবিনা ইয়াসমিন একজন খ্যাতনামা বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী। দেশাত্ববোধক গানের জন্য সাবিনা ইয়াসমিন-এর খ্যাতি ব্যাপক। সব ক’টা জানালা খুলে দাও না, মাঝি নাও ছাড়িয়া দে, সুন্দর সুবর্ণ-এ ধরনের অসংখ্য কালজয়ী গানের শিল্পী তিনি। ছায়াছবিতে ১২ হাজারের মতো গান করছেন তিনি। দশবার পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।

জন্ম সাবিনা ইয়াসমিন
৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৩ সাল
পেশা গায়িকা, অভিনেত্রী
যে কারণে পরিচিত গায়িকা

প্রাথমিক জীবন

সাবিনা ইয়াসমিনের জন্ম ৪ সেপ্টেম্বর। পৌত্রিক বাড়ি সাতক্ষীরায় । তাঁর ৫ বোনের মাঝে ৪ বোনই গান করেছেন।তারা হলেন ফরিদা ইয়াসমিন, ফওজিয়া খান, নীলুফার ইয়াসমিন এবং সাবিনা ইয়াসমিন।তাঁর বড় বোন ফরিদা ইয়াসমিন যখন গান দুর্গাপ্রসাদ রায়ের কাছে তখন ছোট্ট সাবিনাও উপস্থিত থাকতেন। পরবর্তীতে ওস্তাদ পি সি গোমেজের কাছে একটানা ১৩ বছর তালিম নিয়েছেন।মাত্র ৭ বছর বয়সে স্টেজ প্রোগ্রামে অংশ নেন। ছোটদের সংগঠন খেলাঘরের সদস্য হিসেবে রেডিও ও টেলিভিশনে গান গান নিয়মিত।১৯৬৭ সালে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ এবং ‘মধুর জোছনা দীপালি’ গানটির মাধ্যমে তিনি প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে আত্ন প্রকাশ করেন।তবে ‘নতুন সুর’ ছবিতে প্রথম গান করেন তিনি শিশু শিল্পী হিসেবে।

গানের ভূবনে বিচরন

সাবিনা ইয়াসমিন;যিনি চার দশকেরও বেশী সময় ধরে গানের ভূবনে বিচরন করছেন-বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র রুনা লায়লা ছাড়া তার সমকক্ষ হয়ে আর কেউ বোধ হয় এত লম্বা সময় ধরে আধিপত্য বজায় রেখে চলতে পারেন নাই।গত কয়েক দশকে তিনি সর্বমোট কত হাজার গান গেয়েছেন তার সঠিক হিসেব হয়ত সাবিনা নিজেও দিতে পারবেননা তবে মরমী শিল্পী সেই আব্দুল আলীম থেকে শুরু করে একালের কোন উঠতি গায়কের সাথেও অবিরাম গেয়ে চলেছেন একের পর এক গান।সুযোগ পেয়েছেন উপমহাদেশের বরেণ্য সুরকার আর,ডি,বর্মণের সুরে গান গাওয়ার, বিখ্যাত কিশোর কুমারের সাথেও ডুয়েট গান গাওয়ার। ১৯৮৫ সালে গানের জন্য ভারত থেকে 'ডক্টরেট" ও লাভ করেছেন।সাধারণত ফিল্মের গানেই তিনি বেশী কন্ঠ দিয়েছেন।

সাম্প্রতিক এলবাম

সাবিনা ইয়াসমিন এর সাম্প্রতিকতম এলবামটির নাম 'তেরো' -১৩, এটি কবীর সুমন এর সাথে এক সঙ্গে গাওয়া ।

সন্মাননা

সাবিনা ইয়াসমিন সংগীতে অবদানের জন্য পুরষ্কৃত হয়েছেন অনেক বার। যেমন - ১৯৮৪ সালে একুশে পদক,জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার মোট ১০টি, বাচসাস পুরষ্কার মোট ৬টি, বিএফজেএ পুরষ্কার মোট ১৯৯১ সালে। উত্তম কুমার পুরষ্কার ১৯৯১ সালে, এইচ এম ভি ডাবল প্লাটিনাম ডিস্ক,বিশ্ব উন্নয়ন সংসদ থেকে সংগীতে 'ডক্টরেট' ডিগ্রি লাভ করেছেন ১৯৮৪ সালে, ১৯৭৪ ও ১৯৭৫ সালে জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরষ্কার, ১৯৭৫ সালে চলচ্চিত্র পূবাণী চলচ্চিত্র পুরষ্কার, ১৯৯০ সালে শেরে বাংলা স্মৃতি পদক, ১৯৯২ সালে অ্যাস্ট্রোলজি পুরষ্কার,১৯৯২ সালে জিয়া স্মৃতি পদক এবং নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে পান ‘বেস্ট সিঙ্গার’ পুরষ্কার।গান গাওয়ার জন্য সাবিনা ইয়াসমিন বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন যেমন ইংল্যান্ড,সুইডেন,নরওয়ে,হংকং,আমেরিকা,বাহরাইন ইত্যাদি।এছাড়া ভারত, পাকিস্তানে তিনি অনেকবার ভ্রমণ করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন।সাবিনা ইয়াসমিন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘উল্কা’ নামের সিনেমাতে অভিনয় করেছেন।তিনি ২০১০ সালে চ্যানেল আই সেরা কন্ঠ নির্বাচনে একজন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাবিনা ইয়াসমিনের ক্যারিয়ারে খান আতাউর রহমানের অবদান অনেক।

অসংখ্য গানের মধ্য থেকে কিছু গান

এ কী সোনার আলোয়----(মনের মত বউ)

প্রেম যেন এক গোধুলিবেলার--(সমাধান)
যদি আমাকে জানতে সাধ হয়(হারজিৎ)
এই পৃথিবীর পরে কত ফুল ফোটে (আলোর মিছিল)
জানিনা কি ভেবে কাছে নিয়েছিলে(আপনপর)
মন যদি ভেঙ্গে যায় যাক (জোয়ার ভাটা)
জানিনা কে তুমি -----(নাচের পুতুল)
ভুলে গেছি সুর ওগো--(পিচ ঢালা পথ)
অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান (অঃ দিঃ লেখা)
শুধু গান গেয়ে পরিচয়---(অবুঝ মন)
এ আধার কখনো যাবেনা (জীবন তৃষ্ণা)
মিছে হল সবই যে মোর (এতটুকু আশা)
নে রে হার মেনেছি
ও মাধবী গো, আছো মোর অন্তরে
এই ক্ষনটুকু শুধু আমার (ছুটির ফাঁদে)
গীতিময়,সেই দিন চিরদিন (ছন্দ হারিয়ে গেল)
রিমঝিম বরষাতে---------(ছন্দ হারিয়ে গেল)
ছোট্ট একটি গ্রাম-----(সেতু)
কিনিকিনি কংকন বাজে গো(স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা)
জানিনা সে হৃদয়ে কখন এসেছে-(একই অঙ্গে এত রুপ)
ফুলের মালা পরিয়ে দিলে (ময়নামতি)
অনেক প্রেমে রাঙ্গানো আমার এ মন-(অনেক প্রেম অনেক জ্বালা)
শহর থেকে দুরে (শহর থেকে দুরে)
চিঠি দিও প্রতিদিন (অপরাধ)
কোন লজ্জায় ফুল সুন্দর হল (অধিকার)
ইশারায় শীষ দিয়ে আমাকে ডেকোনা (বন্দিনী)
আলো তুমি নিভে যাও (অনন্ত প্রেম)
রংধনু চোখে চোখে কথাকলি মুখে মুখে (মাটির মায়া)
ভালবাসি বলিবনা আর (কসাই)
ফুল যদি ঝরে গিয়ে আজকে রাতে (আনারকলি)
দুঃখ আমার বাসর রাতের (জননী)
সন্ধ্যার ছায়া নামে (পু্ত্রবধু)
মন আমার ছোট্ট তরী (গাংচিল)
মনটা কেন হঠাৎ করে বাধন হারালো(গাংচিল)
কেউ কোনদিন আমারে তো (সুন্দরী)
আমি আছি থাকবো ভালবেসে মরবো(সুন্দরী)
দুঃখ ভালবেসে প্রেমের খেলা (জন্ম থেকে জ্বলছি)
জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো ( !!)
তুমি যদি সুখী হও আমি চলে গেলে (বড় বাড়ির মেয়ে)
যদি গো তার দেখা পাইতাম---------( বড় বাড়ির মেয়ে)
জনম জমম ধরে প্রেম পিয়াসী-------(দেবদাস)
ভালবেসে গেলাম শুধু ---------(কেউ কারো নয়)
শত জনমের স্বপ্ন তুমি আমার জীবনে এলে (রাজলক্ষী শ্রীকান্ত)
মনটা ছিল পথে পড়ে ----(চিৎকার)
ও সাথী রে ,তুমি আছো তুমি রবে(যন্তর মন্তর)
কত যে ফাগুন গেল গুনে দেখিনি (চেনামুখ)
আমার মনের ভিতর অনেক জ্বালা (প্রেমিক)
জীবন মানে যন্ত্রণা-------(এখনই সময়)
মরিব মরিব আমি দাও গো বিদায়(বড় বাড়ির মেয়ে)
আহা চোখের লজ্জা (চন্দ্রনাথ)
প্রেম মুরতী ঘনশ্যাম(চন্দ্রনাথ)
এই দিন চিরদিন জীবনে ( স্ত্রী)
এ সুখের নেই কোন ঠিকানা (স্বামী-স্ত্রী)
আমার সকল চাওয়া তোমাকে ঘিরে (বিরাজ বউ)
আমাকে দেখো না এমন করে (মিস লংকা)
তুমি যে আমার ভালবাসা (বিসর্জন)
শুনাবো কি গান ( বিসর্জন)
কারো আপন হইতে পারলিনা অন্তর(প্রেম নগর)
কতদিন দেখিনি তোমারে (শাস্তি)
অন্তর আমার করলাম নোঙর (নাগর দোলা)
এই মন তোমাকে দিলাম (মানসী)
আমি রজনীগন্ধা ফুলের মত (রজনী গন্ধা)
তোমারই পরশে জীবন আমার (অংশিদার)
এই নিরিবিলি হাওয়ায় (পরিচয়)
একটি ফোটা ফুল একটি শিশির কণা (চাষীর মেয়ে)
ডাকে বারেবারে কে আমারে (শিরী ফরহাদ)
রাগের পরে অনুরাগ (পায়ে চলার পথ)
আমি শুধুই তোমারই জন্য------?????????
আশায় আশায় দিন কেটে যায়-----????
তুমি আমার জীবন তুমি আমার মরন---??????
কি যে করি (কি যে করি)
রংধনু ছড়িয়ে চেতনার আকাশে (বসুন্ধরা)
আমি তো কেবলই এক সাধারন (কাজল লতা)
মন তুই দেখলিনা রে (আগুনের আলো)
আমি ধন্য হয়েছি ওগো (সোনা বউ)
এ আকাশ কে সাক্ষী রেখে (সোহাগ)
ফুল আছে কাঁটা আছে (লাভ ইন সিঙ্গাপুর)
কিছু বলতে আমার বড় সাধ হয় (দেনা পাওনা)
জানি জানি সুখ পাখী তো দেয়না (জীবন সাথী)
দিওনা এ মন দিওনা (আলতাবানু)
মওসম রঙ্গীলা সোনালী (তালাশ)
যেওনা সাথী--(দুরদেশ)
দয়াল তোমার নামের তরী(মাটির মায়া)
ও আমার মন কান্দে (নাগর দোলা)
মন যা বলে মুখে আমি (বধু বিদায়)
এ সময় মায়া মায়া (দরশন)
ভালবেসে ভুল করেছি (ভাত দে)
চোখে চোখ রেখোনা ভয় পাবে হৃদয় (সময় অসময়)
কাছে থেকেও দুরে (সোহাগ)
সে যে কেন এলোনা (রংবাজ)
ও পাখী তোর যন্ত্রনা (অতিথি)
ওরে ও দুষ্টু কোকিলা (হারানো মানিক)
ওরে ও জান রে (জীবন নৌকা)
তুমি কি এখন আমারই কথা ভাবছো(জীবন নৌকা)
মন দিলাম প্রান দিলাম (নূরী)
আজ আমার বাঁচতে যে সাধ হয় (মনিহার)
সুর ভরা এই প্রানের মেলায় (আওয়ারা)
গাগরী বরনে যাবনা যাবনা (রাজলক্ষী শ্রীকান্ত)
খুশীতে নাচে মন (বৌরানী)
যখন আমি ছোট্ট ছিলাম (জবাব)
আধখানা চাঁদ ঐ আকাশে (ভাঙ্গাগড়া)
আধি আধি রাত (যন্তর মন্তর)
ভালবাসা ভুল (স্বামীর সোহাগ)
তুমি ছিলে তুমি রবে (মা ও ছেলে)
তোমাকে ভালবেসে (মা ও ছেলে)
বাজুবন্ধ খুলে খুলে যায় (রাজাসাহেব)
আমি যে খুজি তারে (সম্রাট)
কত নিঝুম রাতের (নাচের পুতুল)
মান অভিমান সে তো হৃদয়ের টান (সুখে থাকো)
হৃদয়ে আকা যে ছবি (দুটি মন দুটি আশা)
ও গো চাঁদ তুমি কি জান না (ইয়ে করে বিয়ে)
নিজের চোখে নিজে আমি (অসাধারণ)
স্মৃতি কেন কাঁদায় (স্বামী)
আশা ছিল মনে মনে (একই অঙ্গে এত রুপ)
বুকেরই ভিতরে রাখিব তোমারে (আমানত)
অন্তর জ্বালাইলা (মালাবদল)
ভালবাসার মনিহারে (অগ্নিকন্যা)
যখন আমার ডাক শুনবে (কা-পুরুষ)
ও নদীরে আমি নালিশ জানাই (অভিমান)
ভালবেসে যদি অপরাধ করে (প্রিয়তমা)
বাদী হল নর্তকী (আনারকলি)
চোখে চোখ রেখো না (প্রেম বন্ধন)
পাখী তুই বলনা--- ????
আমি যদি হারিয়ে যাই
একই শোনালে আমায় (অবুঝ মন)
যে কথা নীরবে ভাষা খোজে (ভালমানুষ)


No comments: