
চলচ্চিত্রে আগমন
শাবনূরের প্রথম ছবি চলচ্চিত্র ‘চাঁদনী রাতে’র নায়ক ছিল সাব্বির।এই ছবিটি ব্যর্থ হয়।তিনি এরপর মেহেদি, অমিত হাসানের সাথেও ছবি করেন।পরে চিত্র নায়ক সালমান শাহের সাথে জুটি বেধে যে সমস্ত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তার সবগুলোই ছিল ব্যবসায়িক মানদন্ডে সফল।তাকে তখন বলা হত নায়ক সালমান শাহ নির্ভর নায়িকা।একক যোগ্যতায় কোন ছবিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা তার নেই এবং অন্য নায়কের বিপরীতে অভিনয় করেও তিনি কোন সফলতা পাবেন না।সালমান শাহ হঠাৎ মারা যাওয়াতে শাবনূর নায়ক শুন্য হয়ে পড়েন।তিনি বলেনঃ “সালমানের অকাল্মৃত্যু গোটা চলচ্চিত্র শিল্পকে যেমন আঘাত করেছিল তেমনি আমার ক্যারিয়ারও তছনছ করে দিয়েছিল।মানসিকভাবে আমিও ভেঙ্গে পড়েছিলাম।”এরপর নির্মাতারা ওমর সানী, আমিন খানের সাথে তার জুটি বাঁধার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে তিনি নায়ক রিয়াজ বিপরীতে অভিনয় করেও সফলতা অর্জন করেন।রিয়াজের পাশাপাশি নায়ক ফেরদৌসের সাথেও তিনি সফল হন।এছাড়াও তিনি মান্না,শাকিব খানের সাথেও অভিনয় করেন।
মূল্যায়ন
শাবনূর একজন নির্ভরযোগ্য নায়িকায় পরিণত হন তাঁর কাজের মাধ্যমে।শাবনূরের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য ছিল হৃদয়স্পর্শী প্রাণ প্রাচূর্য পূর্ণ হাসি।তার পায়ের যুগল ভীষণ আকর্শনীয় এবং তাঁর অভিনয় ক্ষমতা অসাধারণ।তাঁর গ্ল্যামার ও নাচের পারঙ্গমতাও তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দেয়।অভিনয়ের স্মীকৃতি সরূপ তিনি বাচসাস ও দর্শক ফোরাম পুরষ্কার পেয়েছেন।
অভিনীত ছবি
* তুমি আমার
* সুজন সখী
* মহামিলন
* স্বপ্নের ঠিকানা
* তোমাকে চাই
* আত্নসাৎ
* শেষ ঠিকানা
* রঙ্গীন উজান ভাটি
* ব্যাচেলর
Prothom Alo Report 27/09/2009
চার মাসেরও বেশি সময় কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরেছেন শাবনূর। জানালেন, ঈদের তিন দিন আগে দেশে এসেছেন। তবে এখনো কোনো ছবির শুটিং-ডাবিংয়ে অংশ নেননি। শিগগিরই মনতাজুর রহমান আকবরের এভাবেই ভালোবাসা হয় ছবির শুটিংয়ের মাধ্যমে আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন তিনি।
শাবনূর জানান, চলচ্চিত্র পরিচালনার ওপর তিন বছরের একটি কোর্স করার জন্য আগামী বছর আবারও দেশের বাইরে যাবেন। সেখান থেকে ফিরে ছবি নির্মাণের কাজে হাত দেওয়ার ইচ্ছা আছে তাঁর। এদিকে দেশে ফিরে এরই মধ্যে কয়েকটি ছবি হাতে নিয়েছেন। এগুলোতে তিনি অভিনয় করবেন।
শাবনূর বলেন, ‘ছবি নির্মাণের আরেকটি সমস্যা হলো, ভালো শিল্পীর অভাব। ১৫ বছরের অভিনয়জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এখন চলচ্চিত্রে ভালো অভিনয় করার মতো ছেলেমেয়ের সংখ্যা একেবারেই কম। সেদিকটাও ভাবনার মধ্যে রয়েছে। সবকিছু চূড়ান্ত করে তবেই ছবি পরিচালনার কাজ শুরু করব।’
No comments:
Post a Comment