Home | Menu | Poem | Jokes | Games | Science | Omss বাংলা | Celibrity Video | Dictionary

Poets Biography

বাংলাদেশী ক্রিকেটার সাকিব আল-হাসান ১৯৮৭

সাকিব আল-হাসান ( জন্ম: ২৪ মার্চ ১৯৮৭) একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক। বাম হাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। বাম হাতি অর্থোডক্স স্পিনার। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)-এর প্রাক্তন শিক্ষার্থী।

প্রথম জীবনে এবং যুব ক্রিকেটে

তরুণ বয়সেই সাকিব ফুটবল খেলা শুরু করেছিল। তাঁর বাবা খুলনা বিভাগের হয়ে খেলতেন এবং এক কাজিন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে। এরকম ফুটবল পাগল পরিবারে বড় হওয়া সত্ত্বেও সাকিবের ক্রিকেট দক্ষতা ছিল অসাধারণ। গ্রাম-গ্রামান্তরে তাঁকে খেলার জন্য ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হত। এরকমই এক ম্যাচে সাকিব এক আম্পায়ারকে অভিভূত করেছিলেন যিনি এরপরে সাকিবকে ইসলামপুর পাড়া ক্লাব (মাগুরা ক্রিকেট লীগের একটি দল) এর সাথে অনুশীলন করার সুযোগ করে দেন। সাকিব তাঁর স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্নক ব্যাটিং ও দ্রুতগতির বোলিং অব্যাহত রাখেন, সেই সাথে প্রথমবারের মত স্পিন বোলিং নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেন ও সফল হন। ফলস্বরূপ, ইসলামপুর দলে খেলার সুযোগ পান এবং প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন। সত্যিকারের ক্রিকেট বল দিয়ে এটাই ছিল তাঁর প্রথম করা বল। এর আগ পর্যন্ত তিনি টেপড টেনিস বল দিয়েই খেলতেন।

মাত্র পনের বছর বয়সেই সাকিব অনূর্দ্ধ-১৯ দলে খেলার সুযোগ পান। ২০০৫ সালে অনূর্দ্ধ-১৯ ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে (অপর দুটি দেশ ছিল ইংল্যান্ড ওশ্রীলঙ্কা) মাত্র ৮৬ বলে সেঞ্চুরি করে ও তিনটি উইকেট নিয়ে দলকে জেতাতে সহায়তা করেন তিনি। ২০০৫ থেকে '০৬ সালের মধ্যে সাকিব অনূর্দ্ধ-১৯ দলের হয়ে ১৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। ৩৫.১৮ গড়ে তিনি মোট ৫৬৩ রান সংগ্রহ করেন এবং ২০.১৮ গড়ে নেন মোট ২২টি উইকেট।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সূচনালগ্নে

২০০৬ সালের জিম্বাবুয়ে ট্যুরে সাকিব প্রথমবারের মত বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। একই ট্যুরে ওয়ানডে অভিষেক হয় ফরহাদ রেজা ও মুশফিকুর রহিমের। সাকিব ও রেজাকে তখন "দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় তরুণ প্রতিভা" হিসেবে গণ্য করা হত, সকল ডিপার্টমেন্টে যাদের দক্ষতা অসামান্য। তৎকালীন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের বক্তব্য এ প্রসঙ্গে স্মরণযোগ্যঃ "তরুণদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। এখনই সময় তাদের আন্তর্জাতিক লেভেলে খেলার সুযোগ করে দেয়া।" একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় সাকিবের অভিষেক হয় ৬ই আগস্ট। তার প্রথম শিকার হন এল্টন চিগাম্বুরা। ৩৯-১, এই ছিল তাঁর সেদিনকার বোলিং ফিগার। ব্যাট হাতে তিনি ৩০ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। শাহরিয়ার নাফিস সেদিন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে ভূমিকা রাখেন। ম্যাচটি ছিল সিরিজের শেষ ম্যাচ যাতে জিম্বাবুয়ে ৩-২ ব্যবধানে জয়ী হয়। একই বছর সেপ্টেম্বর মাসে সাকিব, ফরহাদ রেজা ও মেহরাব হোসেন জুনিয়র বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। ফলে, বোর্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ের সঙ্খ্যা ২০ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ এ।

ওয়েস্ট-ইন্ডিজ আয়োজিত 'বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০০৭' এ হাবিবুল বাশারের নেত্‌ত্বাধীন ১৫ জনের বাংলাদেশ স্কোয়াডে ডাক পান এই তরুণ ক্রিকেটার । টুর্নামেন্টের দ্বিতীর পর্বে যেতে সক্ষম হয় এই দল এবং ৭ নম্বর টিম হিসেবে টুর্নামেন্ট শেষ করে । শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে দলটি বড়সড় রকমের আপসেটের জন্ম দেয় । তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব-তিনজনের হাফ সেঞ্চুরির উপর ভর করে বাংলাদেশ সহজেই ১৯২ রানের টার্গেটে পৌঁছে যায়। টুর্নামেন্টে সাকিব ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আরেকটি হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৯ ম্যাচে তিনি ২৮.৮৫ গড়ে ২০২ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন মোহাম্মদ আশরাফুল (২১৬)। সাকিব ৪৩.১৪ গড়ে ৭টি উইকেটও নেন ।

সে বছরই মে মাসে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে'র এক সফরে ভারত বাংলাদেশে আসে। মে মাসের ১৮ তারিখ সাকিবের টেস্ট অভিষেক হয় ভারতের বিপক্ষে। অভিষেকটা ঠিক স্বপ্নের মত হয়নি তার জন্য। এক ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে এই অলরাউন্ডার ২৭ রান করেন এবং ১৩ ওভার বল করে উইকেটশূণ্য অবস্থায় থাকেন। ম্যাচটি ড্র হয়। ভারত টেস্ট সিরিজ জেতে ১-০ ব্যবধানে এবং ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ তে। সিরিজ শেষে ডেভ হোয়াটমোর দলের কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেন এবং হাবিবুল বাশারের স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ আশরাফুল । সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা আয়োজিত 'আইসিসি টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপ' এর প্রথম রাউন্ডে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয়ের সুবাদে বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার সুযোগ পায় । ম্যাচটিতে সাকিব ৩৪ রানে নেন ৪ উইকেট। সাকিব-ই প্রথম বাংলাদেশী যিনি টি-২০ ফরম্যাটে ৩টির বেশি উইকেট নেয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। অক্টোবর মাসে ঘোষণা করা হয় যে, জিমি সিডন্স, অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন সহকারী কোচ, বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিতে আসছেন । সিডন্স বাংলাদেশের উন্নতিকল্পে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেন এবং ট্যালেন্টেড তরুণদের আন্তর্জাতিক লেভেলে বেশি বেশি সুযোগ দেবার ঘোষণা দেন।

২০০৭ এর ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ দল দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলতে নিউজিল্যান্ড আসে । প্রথম টেস্টে খেলার সুযোগ না পেলেও পরের টেস্টেই সাকিব এনামুল হক জুনিয়রকে রিপ্লেস করেন তার ব্যাটিং কোয়ালিটির জন্য। এটা ছিল সাকিবের চতুর্থ টেস্ট। তখন পর্যন্ত সাকিব টেস্টে উইকেটশূণ্য ছিলেন। সাকিবের প্রথম টেস্ট শিকার হন নিউজিল্যান্ডের ক্রেইগ কামিং। নিউজিল্যান্ড জেতে এক ইনিংস ও ১৩৭ রানে। ওয়ানডে সিরিজেও নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে। তিন ম্যাচে সাকিব ১০.৩৩ গড়ে ৩১ রান করেন এবং ৪২.৩৩ গড়ে তিনটি উইকেট নেন । ২০০৮ এর ফেব্রুয়ারী-মার্চে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ সফরে আসে। দুটো টেস্টেই সফরকারী দল জয়লাভ করে। সাকিব ১২২ রান দিয়ে মাত্র একটি উইকেট নেন এবং ব্যাট হাতে ৭৫ রান করেন । ওয়ানডে সিরিজেও দক্ষিন আফ্রিকা ৩-০ তে জয় পায়। এ সিরিজেই সাকিব ওয়ানডেতে ১০০০ রানের মাইলস্টোন অতিক্রম করেন। ৩৯টি ম্যাচ খেলে সাকিবের ব্যাটিং গড় তখন ৩৫.৩৭।

বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা (২০০৮-২০০৯)

সাকিব আল হাসানের গড় 1 অক্টোবর, ২০০৮
ম্যাচ রান ব্যাটিং গড় উইকেট বোলিং গড়
টেস্ট ২১৭ ২১.৭০ ১০৪.৬৬
ওডিআই ৫১ 1১,২৯২ ৩২.৩০ ৫০ ৩৪.৩৮

একজন অলরাউন্ডার হওয়া সত্ত্বেও অক্টোবর,২০০৮ এর নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ ট্যুরের আগ পর্যন্ত সাকিবকে বোলার নয়, ব্যাটসম্যান হিসেবেই গণ্য করা হত। টেস্টে সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামলেও ওয়ানডেতে কিন্তু প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যেই থাকতেন তিনি। ট্যুরের আগ দিয়ে কোচ জিমি সিডন্স জানালেন, সাকিবকে স্পেশালিস্ট বোলার হিসেবেই টেস্ট সিরিজ খেলানো হবে। কোচকে হতাশ করেননি সাকিব। উদবোধনী টেস্টের প্রথম ইনিংসেই তিনি ৩৭ রান দিয়ে তুলে নেন ৭টি উইকেট। তখন পর্যন্ত কোন বাংলাদেশী বোলারের টেস্টে এটাই ছিল বেস্ট বোলিং ফিগার। বাংলাদেশ সিরিজ হারে ২-০ তে, কিন্তু সাকিব ১৭.৮০ গড়ে ১০টি উইকেট নিয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে বাংলাদেশ জয় পায়। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডেতে এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম জয় । শেষ পর্যন্ত অবশ্য স্বাগতিক দল সিরিজ হারে ২-১ এ । সাকিব ৩ ম্যাচে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে মাশরাফি মুর্তজা (৭ উইকেট)'র পেছনে থেকে সিরিজে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন ।

পরের মাসেই বাংলাদেশ দল দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-২০ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায় । সাকিবের বোলিং পারফরম্যান্স এখানেও অব্যাহত থাকে। প্রথম টেস্টের প্রথম দিন সাকিব উইকেটশূণ্য থাকলে মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন, বাংলাদেশের তৎকালীন সহকারী কোচ, তাকে বলে 'ফ্লাইট' দেবার পরামর্শ দেন। গুরুর উপদেশ শিরোধার্য করে সাকিব দ্বিতীয় দিনেই পাঁচ-পাঁচটি উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় টেস্টে সাকিব আবারও এক ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নেন। সিরিজ শেষে সাকিবের ঝুলিতে জমা হয় ২০.৮১ গড়ে ১১টি উইকেট । সাকিবের বোলিং দেখে মুগ্ধ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক লেগ স্পিনার ক্যারি ও' কীফে তাকে 'বিশ্বের সেরা ফিঙ্গার স্পিনার' হিসেবে অভিহিত করেন। ২০০৮ এর ডিসেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কা এদেশে দুটি টেস্ট ও একটি ত্রিদেশীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্ট (অপর দলটি ছিল জিম্বাবুয়ে) খেলতে আসে । দুটো টেস্টই শ্রীলঙ্কা জিতে নেয়। সেই সাথে ওয়ানডে টুর্নামেন্টের ফাইনালও। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য সাকিবের করা ৯২* রানের ইনিংসটি বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের একমাত্র জয়ের স্বাদ এনে দেয় । সাকিব ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন।

২২ জানুয়ারী, ২০০৯ সাকিব আইসিসি'র ওডিআই অলরাঊন্ডার র‍্যাঙ্কিং এ ১ নম্বরে উঠে আসেন । ২০১১ সালে আইপিএল এর নিলামে তাকে ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স কিনে নেয়।

সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে

২০০৯ এর শুরুতে বাংলাদেশের টানা কয়েকটি হার এবং দীর্ঘ রানখরার কারণে আশরাফুলের অধিনায়কত্ব প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। তখন থেকেই বিসিবি সাকিবকে জাতীয় দলের 'সম্ভাব্য কর্ণধার' হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করে। বিসিবি অবশ এতো দ্রুত সাকিবের কাঁধে অধিনায়কত্বের বোঝা চাপিয়ে দেয়ার পক্ষপাতী ছিল না। পরবর্তীতে 'টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপ,২০০৯' এর প্রথম পর্বেই বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড ও ভারতের কাছে হেরে বিদায় নেবার ফলে আশরাফুলের অধিনায়কত্বের বিষয়টি আবার সামনে চলে আসে। জুন,২০০৯ এর মাশরাফিকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়, সাকিবকে করা হয় সহ-অধিনায়ক ।

জুলাই মাসে বাংলাদেশ ওয়েস্ট-ইন্ডিজ সফরে যায়। প্রথম টেস্টেই মাশরাফি হাঁটুর ইনজুরিতে আক্রান্ত হন। খেলার শেষ দিনে তিনি মাঠেই নামতে পারেননি এবং তার জায়গায় অধিনায়কত্ব করেন সাকিব। অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে সাকিব যেন নতুন রূপে জ্বলে ওঠেন। তিনি ও মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশের বোলিং অ্যাটাকের নেত্‌ত্ব দেন এবং দু'জনে মিলে মোট ১৩টি উইকেট তুলে নিয়ে দেশকে এক ঐতিহাসিক জয় এনে দেন । দেশের বাইরে এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়। ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম এবং সর্বসাকুল্যে দ্বিতীয় টেস্ট বিজয় । ওয়েস্ট-ইন্ডিয়ান দলটি অবশ্য খানিকটা অনভিজ্ঞ ছিল। বেতনাদি নিয়ে তখন ওয়েস্ট-ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড ও 'খেলোয়াড় সংগঠন'এর মধ্যে রেষারেষি চলছিল। দলের প্রথম একাদশ এ সিরিজটি বর্জন করে এবং সম্পূর্ণ নতুন একটি দল মাঠে খেলতে নামে। সাতজন খেলোয়াড়ের টেস্ট অভিষেক হয় এই ম্যাচে। দলের নেতৃত্ত্বে ছিলেন ফ্লয়েড রেইফার, যিনি কিনা শেষ ১০ বছরে মাত্র ৪টি টেস্ট খেলেছিলেন ।

অধিনায়কের দায়িত্বে (২০০৯-২০১০)

ওয়েস্ট-ইন্ডিজ

মাশরাফির ইনজুরিজনিত অনুপস্থিতির কারণে সিরিজের বাকি সময়টা সাকিবই বাংলাদেশকে নেত্‌ত্ব দেন। ২২ বছর ১১৫ দিন বয়সে বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ ও ইতিহাসের পঞ্চম কনিষ্ঠতম অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন তিনি। সাকিবের নেত্‌ত্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টও জিতে নেয় এবং দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় । ব্যাট হাতে ১৬ ও ৯৬* রান করে এবং বল হাতে ৫৯/৩ ও ৭০/৫ উইকেট নিয়ে সাকিব ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ ও ম্যান অফ দ্যা সিরিজ-দুটো পুরস্কারই নিজের ঝুলিতে পুরেন। গোটা সিরিজে তিনি ৫৩.০০ গড়ে ১৫৯ রান করে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার হন এবং ১৮.৭৬ গড়ে ১৩ উইকেট নিয়ে কেমার রোচের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন । টেস্ট সিরিজ ২-০ তে জেতার পর বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজও ৩-০ তে জেতে। সিরিজে সাকিব দুটি হাফ-সেঞ্চুরি করেন। ব্যাটিং গড় ছিল ৪৫.০০ । ৪৮.০০ গড়ে তিনি দুটো উইকেটও নেন। এই অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য ওয়ানডে সিরিজেও তিনি 'সেরা খেলোয়াড়ে'র খেতাব জিতে নেন।

জিম্বাবুয়ে

মাশরাফি ইনজুর্‌ড থাকায় সাকিবকেই আগস্ট মাসে জিম্বাবুয়ে ট্যুরে অধিনায়ক পদে বহাল রাখা হয়। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সাকিব মাত্র ৬৪ বলে ১০৪ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর গড়তে ও দলকে ২-০ তে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেন । সাকিব সিরিজ শেষ করেন ৪২.৫০ গড়ে ১৭০ রান করে, পঞ্চম সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে। ৩৯.৬৬ গড়ে নেন মোট ৬ট উইকেট। ৪-১ এ সিরিজ জয় শেষে কুঁচকির ব্যথা সারানোর জন্য সাকিব অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান । ওয়েস্ট-ইন্ডিজ সফর থেকেই ব্যথাটা তাকে ভোগাচ্ছিল। ব্যথাকে উপেক্ষা করেই তিনি জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে নেত্‌ত্ব দেবার সিদ্ধান্ত নেন। পুরো বছর জুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে সাকিব আইসিসি কর্ত্‌ক 'টেস্ট প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার, ২০০৯' ও 'ক্রিকেটার অফ দ্যা ইয়ার, ২০০৯' এর জন্য মনোনীত হন । সাকিবই প্রথম বাংলাদেশী যিনি এ ধরণের ক্যাটাগরীতে মনোনয়ন পেয়েছেন।

২০০৯ এর সেপ্টেম্বরে ঘোষণা করা হয় যে, পরের মাসে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে সিরিজে মাশরাফি-ই বাংলাদেশকে নেত্‌ত্ব দেবেন এবং সাকিব আবারও সহ-অধিনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন । কিন্তু মাশরাফি হাঁটুর ইনজুরি থেকে সময়মত সেরে উঠতে না পারায় সাকিবকেই অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় । উদ্বোধনী ম্যাচে হারলেও সাকিবের নেতত্বে বাংলাদেশ ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায় এবং ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় । নভেম্বর মাসে 'দ্যা উইজডেন ক্রিকেটার্স' সাকিবকে 'বছরের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার' ঘোষণা করে।

ইংল্যান্ড ট্যুর ও এশিয়া কাপ

২০১০ এর ফেব্রুয়ারী-মার্চে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসে ইংল্যান্ড। সবগুলো ম্যাচেই ইংল্যান্ড জয় পায়। টেস্ট ও ওয়ানডে- দুটোতেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন সাকিব (টেস্টে ৯ উইকেট ও ওয়ানডেতে ৫ উইকেট) । দ্বিতীয় টেস্টের দু'ইনিংসে সাকিব যথাক্রমে ৪৯ ও ৯৬ রান করেন এবং ১২৪ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। দুটো টেস্টই শেষ দিন পর্যন্ত গড়িয়েছিল। ম্যাচের ত্‌তীয় দিনে আম্পায়ারের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত অবশ্য যথেষ্ট বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। ম্যাচে দুর্ভাগ্যজনক হারের জন্য সাকিব আম্পায়ারদের পরোক্ষভাবে দোষারোপ করেন । সে বছরই মে মাসে বাংলাদেশ ইংল্যান্ড ট্যুরে যায়। এবারও বাংলাদেশ ২-০তে টেস্ট সিরিজ হারে এবং ৮টি উইকেট নিয়ে সাকিব সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন । ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে দিয়ে বাংলাদেশ 'এশিয়া কাপ, ২০১০' খেলার উদ্দেশ্যে শ্রীলঙ্কা যায়। তিনটি ম্যাচের প্রতিটিতেই বাংলাদেশ হারে । সাকিব ও শফিউল ৫টি করে উইকেট নিয়ে যৌথভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন।

অধিনায়ক হিসেবে সাকিব নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। সেই সাথে অলরাউন্ডার হিসেবেও নিজের সেরাটা দিতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। এই দ্বিবিধ জটিলতার কারণে জুলাই মাসে সাকিব অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। দলের দায়িত্ব পুনরায় মাশরাফির কাঁধে বর্তায়। ব্যাপারটাকে সিডন্স ব্যাখ্যা করেন এভাবে, "দেখুন, সাকিব বুঝেশুনেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। ব্যাটিংয়ে ওর ফর্মটা খারাপ যাচ্ছিল। ওর একটু রেস্ট দরকার ।" শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে এসে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে হারাতে সমর্থ হয় । বাংলাদেশ সিরিজ হারে ২-১ এ। ইংল্যান্ড সফর শেষে বাংলাদেশের আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি এবং স্কটল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১টি করে ওয়ানডে খেলার কথা ছিল। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয় এবং আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ড-উভয়ের কাছেই বাংলাদেশ হারে ।

জুলাই মাসে সাকিব পূর্বনির্ধারিত চুক্তি অনুযায়ী ইংল্যান্ডের সেকেন্ড ডিভিশন কাউন্টি দল উর্চেস্টারশায়ারে যোগ দেন। সাকিবই প্রথম বাংলাদেশী যিনি কাউন্টিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এ দলের পক্ষেই সাকিব করেন তাঁর ফার্স্টক্লাস ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং (৩২/৭, মিডলসেক্সের বিরুদ্ধে)। ৮টি ফার্স্টক্লাস ম্যাচ খেলে সাকিব ২৫.৫৭ গড়ে করেন ৩৬৮ রান এবং ২২.৩৭ গড়ে নেন মোট ৩৫টি উইকেট । উর্চেস্টারশায়ার প্রথম ডিভিশন লীগে উন্নীত হয় এবং সাকিবও দলের হয়ে ৫টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পান। দুটো অর্ধ-শতকের সাহায্যে সাকিব ৩৭.৪ গড়ে করেন ১৮৭ রান এবং ১৭.৭৭ গড়ে নেন ৯টি উইকেট ।

নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে

অক্টোবর, ২০১০ এ পাঁচ ওয়ানডে'র একটি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশে আসে। প্রথম ম্যাচেই মাশরাফি অ্যাংকেল ইনজুরির শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন । ফলশ্রুতিতে সাকিব অধিনায়কের দায়িত্ব নেন। সাকিব একেবারে সামনে থেকে দলকে নেত্‌ত্ব দেন। ব্যাট হাতে করেন ৫৮রান, বল হাতে নেন ৪টি উইকেট। দল জেতে ৯ রানে । চতুর্থ ম্যাচে সাকিব আবারও শতক হাঁকান এবং তিন উইকেট নিয়ে দলের বিজয় নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশ সিরিজ জেতে ৪-০তে । পূর্ণশক্তির কোন টেস্ট খেলুড়ে দলের বিরুদ্ধে এটাই বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়। ২১৩ রান করে সাকিব সিরিজের সর্বোচ্চ স্কোরার হন এবং ১১ উইকেট নিয়ে হন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।

ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসে। মাশরাফি ততদিনে ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন। এতদ্‌সত্ত্বেও সাকিবকেই দলের অধিনায়ক পদে বহাল রাখা হয়। প্রথম ম্যাচে পরাজয়র পর প্রেস কনফারেন্সে সাকিব বলেন, "দায়িত্বটা নিতে আমি ঠিক মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না এবং অধিনায়ক হিসেবে আমার ভূমিকা নিয়েও আমি সন্তুষ্ট না ।" সিরিজের বাকি তিনটি ম্যাচেই বাংলাদেশ জয় পায় , একটি ম্যাচ ব্‌ষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। ১৫৬ রান করে সাকিব বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার হন, বল হাতে নেন ৯টি মূল্যবান উইকেট ।

রেকর্ড ও পরিসংখ্যান

টেস্ট ম্যাচ

রেকর্ডস:

  • সপ্তম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ কে সাথে নিয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রহঃ ১৪৫ বনাম নিউজিল্যান্ড, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১০
  • এক ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগারঃ ৭/৩৬ বনাম নিউজিল্যান্ড, ১৭ অক্টোবর ২০০৮
  • বাংলাদেশের সেরা বোলিং গড় (কমপক্ষে ১৫টি উইকেট প্রাপ্ত বোলারদের মধ্যে) ২১ ম্যাচে ৭৫ উইকেট, ৩২.১৩ গড়ে

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ পুরস্কার:

তারিখ প্রতিপক্ষ ভেন্যু রেকর্ডস
২৬–৩১ ডিসেম্বর ২০০৮ শ্রীলঙ্কা এর পতাকা শ্রীলঙ্কা শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা ব্যাটিং ২৬ এবং ৯৬; বোলিং: ৫/৭০ এবং ১/১৩৪
১৭–২০ জুলাই ২০০৯ ওয়েস্ট ইন্ডিজ কুইন্স পার্ক ওভাল, পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ব্যাটিং: ১৬ এবং ৯৬*; বোলিং ৩/৫৯ এবং ৫/৭০

ক্যারিয়ার পারফরম্যান্স:

ব্যাটিং বোলিং
প্রতিপক্ষ ম্যাচ রান গড় সর্বোচ্চ স্কোর ১০০/৫০ রান উইকেট গড় সেরা
ইংল্যান্ড এর পতাকা ইংল্যান্ড ২০২ ২৫.২৫ ৯৬ ০/১ ৬২৮ ১৭ ৩৬.৯৪ ৫/১২১
ভারত এর পতাকা ভারত ১৪৭ ২১.০০ ৩৪ ০/০ ৩৮৩ ৪২.৫৫ ৫/৬২
টেমপ্লেট:Country data NZ ৩৫৮ ৫৯.৬৬ ১০০ ১/২ ৩৫৫ ১৩ ২৭.৩০ ৭/৩৬
দক্ষিণ আফ্রিকা এর পতাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ১২১ ১৫.১২ ৪০ ০/০ ৩৫১ ১২ ২৯.২৫ ৬/৯৯
শ্রীলঙ্কা এর পতাকা শ্রীলঙ্কা ১৯২ ৩২.০০ ৯৬ 0/১ ৪৪৯ ১১ ৪০.৮১ ৫/৭০
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫৯ ৭১.৯৪ ৯৬* ০/১ ২৪৪ ১৩ ১৮.৭৬ ৫/৭০
সর্বমোট ২১ ১,১৭৯ ৩১.০২ ১০০ ১/৫ ২,৪১০ ৭৫ ৩২.১৩ ৭/৩৬

ওডিআই ম্যাচ

রেকর্ডস

  • ৫ম উইকেট জুটিতে - রাকিবুল হাসানকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ১২ মার্চ ২০০৮ <<< রানের কথা উল্লেখ নেই>>>
  • ৯ম উইকেট জুটিতে মাশরাফি_বিন_মর্তুজাকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ বনাম পাকিস্তান, ১৬ এপ্রিল ২০০৭
  • বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেরা ব্যাটিং গড়: ৩৪.৯৮
  • বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি: ৫টি।

ম্যান অব দ্য সিরিজ পুরস্কার:

তারিখ প্রতিপক্ষ রেকর্ডস
জানুয়ারী ২০০৯ জিম্বাবুয়ে এর পতাকা জিম্বাবুয়ে ৩৫.০০ গড়ে ৭০ রান; ৮.৩৩ গড়ে ৬টি উইকেট.
জানুয়ারী ২০০৯ ওয়েস্ট-ইন্ডিজ ৪২.৫০ গড়ে ১৭০রান; ৩৯.৬৬ গড়ে ৬টি উইকেট
অক্টোবর ২০১০ টেমপ্লেট:Country data NZ ৭১.০০ গড়ে ২১৩রান; ১৫.৯০ গড়ে ১১টি উইকেট

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার:[৬০]

তারিখ প্রতিপক্ষ ভেন্যু রেকর্ড
১৫ ডিসেম্বর, ২০০৬ স্কটল্যান্ড এর পতাকা স্কটল্যান্ড বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম ব্যাটিং: ২০*; বোলিং: ৫/৭০
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ জিম্বাবুয়ে এর পতাকা জিম্বাবুয়ে হারারে স্পোর্ট ক্লাব, হারারে ব্যাটিং: ৬৮; বোলিং: ১/৪০
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ কানাডা এর পতাকা কানাডা এন্টিগুয়া রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ড, সেন্ট জোনস, এন্টিগুয়া এন্ড বারমুডা ব্যাটিং: ১৩৪*; বোলিং: ২/৩৬
১৬ এপ্রিল, ২০০৮ পাকিস্তান এর পতাকা পাকিস্তান মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মুলতান, পাকিস্তান ব্যাটিং: ১০৮; বোলিং: ১/৩৪
১৪ জানুয়ারী, ২০০৯ শ্রীলঙ্কা এর পতাকা শ্রীলঙ্কা শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা ব্যাটিং: ৯২*; বোলিং: ০/২৪
২৮ জুলাই, ২০০৯ ওয়েস্ট-ইন্ডিজ উইন্ডসর পার্ক, রোজিও ব্যাটিং: ৬৫; বোলিং: ১/৪২
১১ আগস্ট, ২০০৯ জিম্বাবুয়ে এর পতাকা জিম্বাবুয়ে কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব, বুলাওয়ে ব্যাটিং: ১০৪; বোলিং: ২/৩৯
৫ অক্টোবর, ২০১০ টেমপ্লেট:Country data NZ শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা ব্যাটিং ৫৮; বোলিং ৪/৪১
১৪ অক্টোবর, ২০১০ টেমপ্লেট:Country data NZ শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা ব্যাটিং: ১০৬; বোলিং: ৩/৫৪

ক্যারিয়ার পারফরম্যান্স:

ব্যাটিং বোলিং
প্রতিপক্ষ ম্যাচ রান গড় সর্বোচ্চ স্কোর ১০০ / ৫০ রান উইকেট গড় সেরা বোলিং ফিগার
অস্ট্রেলিয়া এর পতাকা অস্ট্রেলিয়া ৪৭৮ ১৯.৫০ ২৭ ০/০ ১২৩ ৩০.৭৫ ২/৩৮
টেমপ্লেট:Country data BER ৬৮ ৪২* ০/০ ৪৮ ১৬.০০ ২/১২
কানাডা এর পতাকা কানাডা ১৩৪ ১৩৪* ১/০ ৩৬ ১৮.০০ ২/৩৬
ইংল্যান্ড এর পতাকা ইংল্যান্ড ১৪৮ ২৪.৬৬ ৫৭* ০/১ ২৮৮ ৩২.০০ ৩/৩২
ভারত এর পতাকা ভারত ২০০ ৩৩.৩৩ ৮৫ ০/৩ ২৭৯ ৪৬.৫০ ২/৪৩
Flag of Ireland আয়ারল্যান্ড ৯৫ ২৪.১১ ৫০ ০/১ ২১৭ ২৪.১১ ২/১৬
কেনিয়া এর পতাকা কেনিয়া ৫৮ ২৯.০০ ২৫* ০/০ ৮৬ ২৮.৬৬ ২/৩২
নেদারল্যান্ডস এর পতাকা নেদারল্যান্ডস ১৫ ১৫.০০ ১৫ ০/০ ৩৬ ১৮.০০ ২/৩৬
টেমপ্লেট:Country data NZ ১৪ ৩২৯ ২৭.৪১ ১০৬ ১/১ ৫৩৪ ২৪ ২২.২৫ ৪/৩৩
পাকিস্তান এর পতাকা পাকিস্তান ২১৭ ৩৬.১৬ ১০৮ ১/১ ২৯০ ৪১.৪২ ২/৫০
স্কটল্যান্ড এর পতাকা স্কটল্যান্ড ৬৪ ৬৪.০০ ৪৪ ০/০ ২১ ১০.৫০ ১/৮
দক্ষিণ আফ্রিকা এর পতাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪৭ ২৪.৫০ ৫২ ০/২ ২৬৮ ৫৩.৬০ ২/৪৮
শ্রীলঙ্কা এর পতাকা শ্রীলঙ্কা ১০ ২৫৭ ৩২.১২ ৯২* ০/২ ৩৩০ ৬৬.০০ ২/২২
West Indies ১৩৫ ২৭.০০ ৬৫ ০/২ ১৪৬ ৪৮.৬৬ ১/২৬
জিম্বাবুয়ে এর পতাকা জিম্বাবুয়ে ২৯ ৮৮৯ ৪৪.৪৫ ১০৫* ২/৪ ১,০১৪ ৪৫ ২২.৫৩ ৪/৩৯
সর্বমোট ১০২ ২,৮৩৪ ৩৪.৯৮ ১৩৪* ৫/১৭ ৩,৭১৬ ১২৯ ২৮.৮০ ৪/৩৩



No comments: